ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চকরিয়ায় মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে হুমকি

homkiমিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা ও মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে মামলার আসামীরা হুমকি দিচ্ছে। এমনকি হামলার সময় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত প্রবাসী ও আওয়ামীলীগ নেতা ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় থাকলেও তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়াতে প্রতিপক্ষ মামলার আসামীরা নানা ষড়যন্ত্রের ছক আঁকে। এরই অংশ হিসেবে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে গভীর রাতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে প্রবাসী ও তার ভাই আওয়ামীলীগ নেতাকে আসামী করে থানায় একটি মিথ্যা মামলা রুজু করে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় কিভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানোর মতো জঘন্য ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। আবার পুলিশও কোন ধরণের তদন্ত না করে চিকিৎসাধীন থাকা আহত ব্যক্তিদের নামে মামলা নেয়।

গতকাল বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত আকারে এসব অভিযোগ আনেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া গ্রামের মৃত হাজি সোলাইমানের পুত্র শাহাব উদ্দিন। তিনি লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, গত ২ জুলাই শবে কদরের রাতে বাইতুল মামুর জামে মসজিদে নামাজ শেষে তাদের পিতার করব জেয়ারত করার জন্য প্রবাসী জিয়া উদ্দিন বাবলু ব্যবহৃত মোটর সাইকেল যোগে কবরস্থানের দিকে রওনা দেন। পথিমধ্যে পশ্চিম দিগরপানখালীস্থ মেম্বার রুহুল আমিনের বাড়ির পশ্চিম পাশে টমটম গ্যারেজের সামনে রাস্তার ওপর ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে এহেছানুল হক, আবুল হোছন প্রকাশ সিএমবি আবুল হোছেনের ছেলে বুলেট ফারুক ও জিয়াউর রহমান, আবুল বশরের ছেলে মো. এহেছান, নুরুল কবিরের ছেলে আরিফুল হক ও মো. শহিদুল ইসলাম, মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. এরশাদসহ আরো ৪-৫জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তার প্রবাসী ভাই জিয়া উদ্দিন বাবলু ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর হামজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাত ১২ টা ৩২ মিনিটের দিকে প্রথমে গুলি করে। এর পর মোটর সাইকেলের গতিরোধের পর দুইজনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে মোটর সাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বাবলু এবং ওমর হামজাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে অদ্যাবদি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে দুইজনের। পরবর্তীতে ৫ জুলাই এ ঘটনায় তিনি (শাহাব উদ্দিন) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। যার মামলা নম্বর সিআর-০৭/২৬১। এই মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এই অবস্থায় একই দিন রাত ১২:৪৫ মিনিটের দিকে মামলার আসামীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিভাবে আগুন দিতে পারে এই প্রশ্ন তার।

শাহাব উদ্দিন জানান, তার ভাইদের ওপর হামলার পর পরই ঘটনাস্থলে থানার এসআই মাহবুবসহ একদল পুলিশ যায়। পুলিশও স্বচক্ষে দেখেছেন তার ভাইদের ওপর কিভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু সুচতুর মামলার আসামীরা এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে তাতে আগুন দেয়। পরে এই ঘটনা তার ভাইয়েরা সংঘটিত করেছে বলেও অপপ্রচার চালানো হয়। এমনকি তার ভাইদের ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর জন্যও বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচারও চালায়। তাই এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে প্রবাসী ও আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন শাহাব উদ্দিন।

পাঠকের মতামত: